একজন মানুষ খাবার না খেয়ে কয়েকদিন বেঁচে থাকতে পারবে। তবে জল না খেয়ে একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আর সেজন্যই জলের আর এক নাম জীবন। চিকিত্সকদের মতে, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে নানাবিধ জটিলতা তৈরি হতে বাধ্য। এমনকী বহু গুরুতর অসুখের প্রধান কারণও এই জল কম খাওয়া।আমাদের শরীরের দুই-তৃতীয়াংশ জল। একটুখানি দৌড়ে এলে বা হাঁফিয়ে গেলেই আমাদের জলের তেষ্টা পায়। অথচ এসব সত্ত্বেও আমরা অনেকেই জল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি না। জল ও অক্সিজেন এই দুটি আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। পানির অভাবে কী কী শারিরীক সমস্যা হতে পারে তা আমরা জেনে নিই।
১. ক্ষুধাবোধে অসাম্য : যখন আপনার খিদে পায়নি, সেসময়ও মস্তিষ্ক সঙ্কেত পাঠাতে শুরু করে। এটা হয় ডিহাইড্রেশনের জন্য। যে খাবারে বেশি জল থাকেনা এমন খাবার মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে ধীরে করে দেয়। এবং শরীরে মেদ জমতে থাকে।
২.মাংসপেশি কমে যায় : যেহেতু মাংসপেশিতে অনেক জল ধরে রাখা যায়, তাই জল না খেলে শরীর অনেকটা শুকিয়ে যায়। তাই শরীরচর্চার পরে প্রচুর জল খাবার প্রয়োজন হয়।যেহেতু মাংসপেশিতে অনেক জল ধরে রাখা যায়, তাই জল না খেলে শরীর অনেকটা শুকিয়ে যায়।
৩.শুকনো চামড়া : পানি না খেলে ত্বক তার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য হারায়। শরীরকে সবদিক দিয়ে ঢেকে রেখেছে ত্বক। ফলে জল কম খেলে তা ঠিকমতো কাজ করে না। ঘাম হয় না, শরীর থেকে দূষিত টক্সিন বেরিয়ে যায় না। ফলে গোটা শরীরেই তার প্রভাব পড়ে।
৪.গাঁটে ব্যথা : আমাদের শরীরের ভার্টিব্রা ও কার্টিলেজের ৮০ শতাংশই জল। ফলে যদি হাড়ের ব্যথা কমাতে হয় তাহলে অনেক বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে।
৫.ফ্যাকাশে চোখ : শরীরে জলর পরিমান কমে গেলে চোখেও তার প্রভাব পড়ে। লাল হয়ে যায় চোখ। যারা লেন্সের ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন।
৫.ক্লান্তি : পানি না খেলে ক্লান্তি খুব তাড়াতাড়ি আসে। সেটা এড়িয়ে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার সুপারিশ করেছেন চিকিত্সকেরা।
৬.শুকনো মুখ : ডিহাইড্রেশনের সবচেয়ে কমন ফ্যাক্টর হল মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া। এমন হলে মুখে জীবাণুর বাসা বাঁধতে বিশেষ সুবিধা হয়।
৭.অসময়ে যৌবন হারিয়ে যায় :পানি না খেলে তার ছাপ পড়ে আপনার মুখেও। সারা মুখের চামড়া সময়ের অনেক আগেই কুঁচকে যায়। ফলে তুলনায় অনেক বেশি বয়স্ক মনে হয়।